Farmer Became Millionaire After Winning Lottery In Ausgram
পেশায় চাষি বামাচরণ মেটের জমিতে দেওয়ার জন্য সার শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই সার কেনার জন্য তার স্ত্রী ১০০ টাকা দিয়েছিলেন বাজারে যাবার জন্য। কিন্তু সারের দোকান বন্ধ থাকায় তিনি ৬০ টাকা দিয়ে দু’টি লটারির টিকিট কেটেছিলেন। আর সেই টিকিটেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল আউশগ্রামের ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা বামাচরণ মেটের। রাতারাতি তিনি হলেন কোটিপতি। আর সেজন্য নিরাপত্তার জন্য সোমবার থেকেই তিন দিন ধরে থাকতে হচ্ছে আউশগ্রামের ছোড়া ফাঁড়িতেই। (Farmer Became Millionaire After Winning Lottery In Ausgram)
পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় ঘোষণা উড়িষ্যা সরকারের
স্থানীয় সূত্রে খবর সামান্য কিছুটা জমি ভাগচাষের পাশাপাশি দিনমজুরি করেন। আরও জানাগেছে যে জমিতে দেওয়ার জন্য পটাশ সার শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেটাই কিনতে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন বামাচরণের স্ত্রী বোধন দেবী। সোমবার বাজারে সার কিনতে গিয়ে দেখেন যে সারের দোকান বন্ধ রয়েছে। অন্য দোকানেও পটাশ সার পাওয়া যায়নি। তখন বাড়ি ফেরার পথে এক জন লটারির টিকিট বিক্রেতার থেকে ৬০ টাকা দিয়ে দুই টিকিট কিনে ফেলেন বামাচরণ। (Farmer Became Millionaire After Winning Lottery In Ausgram)
উৎসবের মরশুমে ভারতে অনলাইনে বিক্রিত ৫৫ হাজার কোটি টাকার পণ্য
আর ওই দিনই দুপুরে খেতে বসার সময় ফোনে টিকিটের নম্বর মেলাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় বামা চরণের। তিনি দেখেন দু’টির মধ্যে একটি টিকিটে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। প্রথমে বিশ্বাসই করতে পাচ্ছিলেন না যে তিনি প্রথম পুরস্কার জিতেছেন। এমতঅবস্থায় লটারিতে কোটিপতি হলেও দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়েনি বামাচরণের। এখন নিরাপত্তার অভাবে ভুগছিলেন তিনি। তাই পুরস্কার জেতার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তিনি তার ভাইপোকে নিয়ে ছোড়া ফাঁড়িতে চলে যান।
অপশক্তির রহস্যভেদে আবার ফিরছেন ভাদুড়ি মশাই
সেখানে পুলিশের কাছে নিরাপত্তার জন্য আবেদনও জানান। এবং তাঁর আবেদনে সাড়া দেয় পুলিশ। আপাতত তাঁর আশ্রয় ফাঁড়িতেই। বামাচরণের স্ত্রী বোধনদেবী জানান, সারাজীবন অভাবের মধ্যেই কাটিয়েছি। মা লক্ষ্মীর কৃপায় এত টাকার পুরষ্কার জেতার পর এ বছরেই বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু স্বামীকে থানায় থাকতে হচ্ছে। তাই পরের বছর মায়ের পুজো করব। এত টাকা কি করবেন প্রশ্নের জবাবে বামাচরণ বলেন, পঞ্চাশ লাখ টাকা এমআইএস করব। একটা বাড়ি করব। দু’বিঘা জমি কেনারও ইচ্ছে আছে। তবে যাই করি না কেন এই গ্রাম ছেড়ে কোথাও যাব না।